Train Schedule

ভৈরব টু নরসিংদী ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া এবং স্টপেজ স্টেশন

বাংলাদেশের অন্যতম ব্যস্ত রেলপথের মধ্যে একটি হচ্ছে ভৈরব টু নরসিংদী রুট। এই রুটে দৈনিক হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম, শিক্ষা, চিকিৎসা, পরিবার পরিদর্শনসহ বিভিন্ন কাজে যাত্রীরা এই ট্রেনের উপর নির্ভর করে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ভৈরব থেকে নরসিংদী পর্যন্ত ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া এবং স্টপেজ স্টেশন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

ট্রেনের সময়সূচী

ভৈরব থেকে নরসিংদী রুটে বিভিন্ন ধরনের ট্রেন চলাচল করে থাকে। এই ট্রেনগুলো বিভিন্ন সময়ে যাত্রা শুরু করে এবং বিভিন্ন সময়ে নরসিংদীতে পৌঁছে। এখানে কয়েকটি ট্রেনের সময়সূচী দেওয়া হল:

সিরিয়াল নংট্রেনের নামপ্রস্থানআগমনছুটির দিন
০১মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১)১৭.১০১৭.৪৫রবিবার
০২১১ সিন্ধুর প্রভাতী(৭৩৮)০৮.১০০৯.১০নাই
০৩১১ সিন্ধুর গোধূলি(৭৫০)১৪.৪৫১৫.৩৮বুধবার
০৪কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস(৭৮২)১৭.৪৫১৮.৪৩শক্রবার
০৫চট্টলা এক্সপ্রেস(৬৭)১৩.৪৮১৪.২৬মঙ্গলবার

ট্রেনের ভাড়া

ভৈরব থেকে নরসিংদী পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া ট্রেনের ধরণ এবং আসনের শ্রেণীর উপর নির্ভর করে। এখানে বিভিন্ন শ্রেণীর আসনের ভাড়া দেওয়া হল:

সিরিয়াল নংআসন বিন্যাসভাড়ার তালিকা
০১শোভন৪৫ টাকা
০২শোভন চেয়ার৫০ টাকা
০৩প্রথম সিট৯০ টাকা
০৪প্রথম বার্থ১১০ টাকা
০৫স্নিগ্ধা১১৫ টাকা
০৬এসি সিট১২৭ টাকা
০৭এসি বার্থ১৫০ টাকা

ভাড়ার তথ্য পরিবর্তন হতে পারে, তাই যাত্রার আগে সর্বশেষ ভাড়ার তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।

স্টপেজ স্টেশন

ভৈরব থেকে নরসিংদী পর্যন্ত ট্রেনগুলোর বেশ কয়েকটি স্টপেজ স্টেশন রয়েছে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজ স্টেশনের তালিকা দেওয়া হল:

  1. ভৈরব বাজার রেলওয়ে স্টেশন:
    • এই স্টেশন থেকে ট্রেন যাত্রা শুরু করে।
  2. সরাইল রেলওয়ে স্টেশন:
    • ভৈরব থেকে ছাড়ার পর প্রথম স্টপেজ। এই স্টেশনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অন্তর্গত।
  3. আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন:
    • সরাইলের পরবর্তী স্টেশন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক স্টেশন।
  4. নরসিংদী রেলওয়ে স্টেশন:
    • গন্তব্য স্টেশন। নরসিংদী শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত।

যাত্রা সংক্রান্ত কিছু টিপস

  1. টিকিট কাটা:
    • ট্রেনের টিকিট আগে থেকে কেটে নেওয়া ভালো। বিশেষ করে উৎসবের সময় যাত্রীসংখ্যা বেড়ে যায়, তাই টিকিট পেতে অসুবিধা হতে পারে।
  2. সচেতনতা:
    • ট্রেন যাত্রার সময় নিজেদের ব্যাগ ও মূল্যবান সামগ্রী সুরক্ষিত রাখা উচিত। ট্রেনের ভিতরে পকেটমার ও চুরির ঘটনা ঘটতে পারে।
  3. সময় মেনে চলা:
    • ট্রেনের সময়সূচী মেনে স্টেশনে পৌঁছানো উচিত। ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আপডেটেড সময়সূচী জানা উচিত।
  4. যাত্রার সুবিধা:
    • ট্রেন যাত্রা অন্যান্য যাত্রার তুলনায় অনেক সুবিধাজনক। সময়মত পৌঁছানো এবং কম খরচে যাত্রা করা যায়।

উপসংহার

ভৈরব থেকে নরসিংদী ট্রেন যাত্রা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় রুট। সময়মত ট্রেন পাওয়া, সঠিক ভাড়ায় টিকিট কাটা, এবং যাত্রার সময় সচেতন থাকার মাধ্যমে এই যাত্রা আরও সুবিধাজনক ও নিরাপদ করা যায়। যাত্রার পূর্বে সময়সূচী এবং স্টপেজ স্টেশন সম্পর্কে জেনে রাখা সবসময়ই ভালো। আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনার যাত্রাকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করবে।

যেকোনো প্রশ্ন বা পরামর্শের জন্য নিচে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। শুভ যাত্রা!

Bangladesh Railway

ধন্যবাদ আমার সম্পর্কে জানতে চাওয়ার জন্য। আমি কোন ব্যক্তি নই। আমি একটি প্রতিষ্টান যেখানে একাধিক ব্যক্তি কর্মরত। সুতরাং আমাদের সাথে জড়িত যে কেউ আমার এই প্রফাইল ব্যবহার করে তথ্য প্রকাশ করতে পারে। কোন অভিযোগ বা পরামর্শের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button