Train Schedule

যশোর টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া ও স্টপেজ স্টেশন

যশোর টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া: ভ্রমণকারীদের জন্য গাইড

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুট হল যশোর থেকে খুলনা। এই রুটটি চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এবং পাশাপাশি ট্রেন ভ্রমণের আরামদায়ক অভিজ্ঞতা অনেক ভ্রমণকারীকে আকৃষ্ট করে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা যশোর টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া, স্টপেজ স্টেশন এবং ট্রেন ভ্রমণ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানবো যা আপনার ভ্রমণকে আরও সহজ ও আনন্দদায়ক করবে।

যশোর থেকে খুলনা ট্রেনের সময়সূচী

যশোর টু খুলনা রুটে প্রতিদিন বেশ কিছু ট্রেন চলাচল করে। যশোর রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টা। বিভিন্ন ট্রেনের সময়সূচী নীচে দেওয়া হলো:

ট্রেনের নামট্রেন নংযশোর থেকে ছাড়ার সময়খুলনা পৌঁছানোর সময়ট্রেনের ধরণ
সুন্দরবন এক্সপ্রেস৭২৬সকাল ৮:৫৮সকাল ১০:৪০মেইল/এক্সপ্রেস
চিত্রা এক্সপ্রেস৭৬৩দুপুর ২:৩৫বিকেল ৪:২০মেইল/এক্সপ্রেস
রূপসা এক্সপ্রেস৭২৭রাত ৮:৪০রাত ১০:৩০মেইল/এক্সপ্রেস
বেনাপোল এক্সপ্রেস৭৯৬সকাল ১০:০৫দুপুর ১১:৪৫মেইল/এক্সপ্রেস

উল্লেখ্য, সময়সূচীতে যেকোনো পরিবর্তন বা আপডেটের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাচাই করে নেয়া উচিত।

ট্রেনের স্টপেজ স্টেশনসমূহ

যশোর থেকে খুলনার পথে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজ স্টেশন রয়েছে। ট্রেন ভ্রমণকালে যাত্রীরা এই স্টেশনে নামতে বা উঠতে পারেন। নীচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজ স্টেশনের তালিকা দেওয়া হল:

  1. যশোর জংশন (Jessore Junction): যশোর জেলার অন্যতম প্রধান রেলওয়ে স্টেশন।
  2. নওয়াপাড়া (Noapara): শিল্প এলাকায় অবস্থিত, এই স্টেশনটি অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
  3. দৌলতপুর (Doulatpur): খুলনা জেলার সীমানার কাছাকাছি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন।
  4. খুলনা (Khulna): খুলনার প্রধান রেলওয়ে স্টেশন এবং যাত্রার শেষ গন্তব্য।

যশোর টু খুলনা ট্রেন ভাড়া

ট্রেনের ধরণ এবং আসনের শ্রেণি অনুসারে ভাড়া ভিন্ন হয়। সাধারণত, শোভন, শোভন চেয়ার, প্রথম শ্রেণি, এবং এসি শ্রেণির আসন পাওয়া যায়। এখানে একটি ধারনামূলক ভাড়ার তালিকা দেওয়া হল:

আসনের শ্রেণিভাড়া (টাকা)
শোভন (নন-এসি)৭০-৮০ টাকা
শোভন চেয়ার৯০-১০০ টাকা
প্রথম শ্রেণি১৩০-১৫০ টাকা
এসি স্নিগ্ধা২০০-২৫০ টাকা
এসি কেবিন৩০০-৩৫০ টাকা

শোভন (নন-এসি): সাধারণ মানের আসন, যেগুলো তুলনামূলকভাবে সস্তা এবং আরামদায়ক।
শোভন চেয়ার: শোভন আসনের চেয়ে একটু বেশি আরামদায়ক এবং আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ।
প্রথম শ্রেণি: এই শ্রেণির আসনগুলোর ভাড়া একটু বেশি, তবে পরিষেবার মানও উন্নত।
এসি স্নিগ্ধা ও কেবিন: এসি শ্রেণির আসনগুলো সর্বোচ্চ আরামদায়ক এবং প্রিমিয়াম পরিষেবা দেওয়া হয়।

ট্রেন ভ্রমণের সুবিধা

যশোর থেকে খুলনা রুটে ট্রেনে ভ্রমণ করার অনেক সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, ট্রেন ভ্রমণ সড়কপথের তুলনায় অনেক সাশ্রয়ী এবং আরামদায়ক। ভ্রমণের সময় বিভিন্ন সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় যা যাত্রাকে আরও আনন্দময় করে তোলে। এছাড়াও, বাংলাদেশ রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত ট্রেনগুলিতে সঠিক সময়ে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা বেশি, যা যাত্রীদের পরিকল্পনা করতে সাহায্য করে।

টিকিট বুকিং এবং অন্যান্য তথ্য

বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে টিকিট অনলাইনে বুকিং করা যায়। এছাড়া, স্থানীয় রেলওয়ে স্টেশন থেকেও টিকিট সংগ্রহ করা সম্ভব। ভ্রমণের আগে ট্রেনের সময়সূচী এবং টিকিটের প্রাপ্যতা যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, ভিড়ের সময়ে আগাম টিকিট বুকিং করে রাখা ভালো।

যশোর থেকে খুলনা ট্রেন যাত্রা অত্যন্ত আরামদায়ক, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী। যশোর এবং খুলনার মধ্যে ট্রেনের বিভিন্ন সময়সূচী, স্টপেজ এবং ভাড়া সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকলে ভ্রমণ আরও সহজ হয়ে ওঠে। আশা করি, এই পোস্ট থেকে আপনি আপনার পরবর্তী ট্রেন যাত্রার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়ে গেছেন।

ভ্রমণ শুভ হোক!

Bangladesh Railway

ধন্যবাদ আমার সম্পর্কে জানতে চাওয়ার জন্য। আমি কোন ব্যক্তি নই। আমি একটি প্রতিষ্টান যেখানে একাধিক ব্যক্তি কর্মরত। সুতরাং আমাদের সাথে জড়িত যে কেউ আমার এই প্রফাইল ব্যবহার করে তথ্য প্রকাশ করতে পারে। কোন অভিযোগ বা পরামর্শের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button