Train Schedule

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ট্রেন ভ্রমণ সালের ভাড়া, স্টপেজ স্টেশন ও অন্যান্য তথ্য

বাংলাদেশের অন্যতম দুটি গুরুত্বপূর্ণ শহর চট্টগ্রাম এবং ঢাকা। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ভ্রমণের অন্যতম সহজ এবং আরামদায়ক মাধ্যম হলো ট্রেন। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য ট্রেন ভাড়া ও বিভিন্ন স্টপেজ স্টেশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই, এই ব্লগে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ট্রেন ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।

ট্রেনের ধরন ও ভাড়া

বাংলাদেশ রেলওয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ট্রেন পরিচালনা করছে, যার মধ্যে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেন (এসি), নন-এসি ট্রেন এবং লোকাল ট্রেন। ভাড়া নির্ভর করে ট্রেনের শ্রেণি, সার্ভিস এবং আসন সংরক্ষণের ওপর।

১. সুবর্ণ এক্সপ্রেস (৭০১/৭০২)

ভাড়া:

  • এসি চেয়ার: প্রায় ১,০২৫ টাকা
  • শোভন চেয়ার: প্রায় ৩৫০ টাকা
২. তূর্ণা নিশীথা (৭৪১/৭৪২)

ভাড়া:

  • এসি কেবিন: প্রায় ১,২০০ টাকা
  • এসি চেয়ার: প্রায় ৭২৫ টাকা
  • শোভন চেয়ার: প্রায় ৩৮৫ টাকা
৩. মহানগর প্রভাতি (৭০৩/৭০৪)

ভাড়া:

  • এসি কেবিন: প্রায় ১,২৩০ টাকা
  • এসি চেয়ার: প্রায় ৭২৫ টাকা
  • শোভন চেয়ার: প্রায় ৩৮৫ টাকা
৪. মহানগর গোধূলি (৭০৫/৭০৬)

ভাড়া:

  • এসি কেবিন: প্রায় ১,২৩০ টাকা
  • এসি চেয়ার: প্রায় ৭২৫ টাকা
  • শোভন চেয়ার: প্রায় ৩৮৫ টাকা
৫. সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৯/৭৯০)

ভাড়া:

  • এসি চেয়ার: প্রায় ১,০২৫ টাকা
  • শোভন চেয়ার: প্রায় ৪৫০ টাকা
৬. মহানগর এক্সপ্রেস (৭২২/৭২৩)

ভাড়া:

  • এসি কেবিন: প্রায় ১,২৫০ টাকা
  • শোভন চেয়ার: প্রায় ৪৫০ টাকা

এছাড়া লোকাল ট্রেনেও কম খরচে যাত্রা করা যায়, তবে সময় বেশি লাগে এবং সুবিধা তুলনামূলকভাবে কম।

স্টপেজ স্টেশন

ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন রয়েছে, যেখানে যাত্রীরা উঠা-নামা করতে পারেন। প্রতিটি ট্রেনের নির্দিষ্ট স্টপেজ রয়েছে, তাই যাত্রার আগে স্টপেজ সম্পর্কে জেনে নেওয়া ভালো।

সুবর্ণ এক্সপ্রেসের স্টপেজ:

১. চট্টগ্রাম ২. ফেনী ৩. লাকসাম ৪. ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫. কুমিল্লা ৬. ভৈরব বাজার ৭. ঢাকা (কামালাপুর)

তূর্ণা নিশীথার স্টপেজ:

১. চট্টগ্রাম ২. ফেনী ৩. কুমিল্লা ৪. আখাউড়া ৫. ভৈরব বাজার ৬. টঙ্গী ৭. ঢাকা (কামালাপুর)

মহানগর প্রভাতির স্টপেজ:

১. চট্টগ্রাম ২. ফেনী ৩. লাকসাম ৪. আখাউড়া ৫. কুমিল্লা ৬. ভৈরব বাজার ৭. ঢাকা (কামালাপুর)

সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের স্টপেজ:

১. চট্টগ্রাম ২. কুমিল্লা ৩. ঢাকা (কামালাপুর)

প্রতিটি স্টপেজে ট্রেনের নির্দিষ্ট সময়মতো থামে, যা যাত্রীদের জন্য যাত্রাপথকে আরও সহজ করে তোলে। ভ্রমণকালে প্রয়োজনীয় বিরতি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহের সুযোগও রয়েছে এই স্টেশনগুলোতে।

ভ্রমণের সময়সূচি

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা গামী ট্রেনগুলোর সময়সূচি যাত্রীদের সুবিধার্থে নির্ধারণ করা হয়েছে। বেশিরভাগ ট্রেন সকাল, বিকাল এবং রাতের বেলায় চলাচল করে। নীচে কয়েকটি ট্রেনের সময়সূচি দেওয়া হলো:

  • সুবর্ণ এক্সপ্রেস: সকাল ৭:০০ টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে বিকাল ১২:৩০ টায় ঢাকায় পৌঁছায়।
  • তূর্ণা নিশীথা: রাত ১১:০০ টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে ভোর ৫:৩০ টায় ঢাকায় পৌঁছায়।
  • মহানগর প্রভাতি: সকাল ৭:৪০ টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে দুপুর ১:৫০ টায় ঢাকায় পৌঁছায়।
  • সোনার বাংলা এক্সপ্রেস: বিকাল ৫:০০ টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে রাত ১০:১০ টায় ঢাকায় পৌঁছায়।

ভ্রমণের সুবিধা

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ট্রেনে যাতায়াতের অনেক সুবিধা রয়েছে। প্রথমত, এটি একটি আরামদায়ক এবং নিরাপদ ভ্রমণ ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন এবং চেয়ার সেবা যাত্রীদের ভ্রমণকে সহজ করে তোলে। এছাড়া, ট্রেন চলাচলের সময় রাস্তায় যানজটের ঝামেলা থাকে না, যা বাস বা গাড়ির চেয়ে ট্রেনকে বেশি সুবিধাজনক করে তোলে।

টিকিট সংগ্রহের পদ্ধতি

২০২৪ সালে বাংলাদেশ রেলওয়ে অনলাইন ও অফলাইন উভয় মাধ্যমেই টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছে। যাত্রীরা সহজেই রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ থেকে টিকিট বুক করতে পারেন। এছাড়া, স্টেশনে গিয়ে সরাসরি টিকিট কেনার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে, যাত্রার দিন টিকিট না পেলে সমস্যা হতে পারে, তাই আগে থেকেই টিকিট বুকিং করা উত্তম।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

১. অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করুন: উৎসব মৌসুমে বা ছুটির দিনে ট্রেনের টিকিট পাওয়া কঠিন হতে পারে, তাই অগ্রিম টিকিট বুক করা ভালো। ২. স্টেশনে আগে পৌঁছান: যাত্রার কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে স্টেশনে উপস্থিত হওয়া উচিত, যাতে ট্রেন ধরতে কোনো সমস্যা না হয়। ৩. নিরাপত্তা বজায় রাখুন: ভ্রমণের সময় আপনার ব্যাগ ও গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।

চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা ট্রেন ভ্রমণ আগের চেয়ে আরও আরামদায়ক ও সহজ হয়েছে। বিভিন্ন ট্রেনের ভাড়া এবং স্টপেজ স্টেশনের তথ্যের ভিত্তিতে আপনি আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা করতে পারবেন। টিকিট বুকিং ও সময়সূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভ্রমণ করলে আপনার যাত্রা হবে আরও সহজ ও উপভোগ্য।

Bangladesh Railway

ধন্যবাদ আমার সম্পর্কে জানতে চাওয়ার জন্য। আমি কোন ব্যক্তি নই। আমি একটি প্রতিষ্টান যেখানে একাধিক ব্যক্তি কর্মরত। সুতরাং আমাদের সাথে জড়িত যে কেউ আমার এই প্রফাইল ব্যবহার করে তথ্য প্রকাশ করতে পারে। কোন অভিযোগ বা পরামর্শের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button