Train Schedule

কুমিল্লা টু ভৈরব ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া এবং স্টপেজ স্টেশন

বাংলাদেশে রেল ভ্রমণ এক অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং আরামদায়ক মাধ্যম। বিশেষ করে কুমিল্লা থেকে ভৈরব পর্যন্ত ট্রেন যাত্রা অনেকের কাছে প্রিয়। এই পথে ভ্রমণ সহজ, সাশ্রয়ী এবং সময়মতো পৌঁছানোর নিশ্চয়তা প্রদান করে। চলুন কুমিল্লা থেকে ভৈরব পর্যন্ত ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া, এবং স্টপেজ স্টেশনগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি।

ট্রেনের সময়সূচী

কুমিল্লা থেকে ভৈরব পর্যন্ত বিভিন্ন ট্রেন চালু রয়েছে, যা যাত্রীদের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সুবিধা প্রদান করে। প্রধানত এই পথে আন্তঃনগর এবং মেইল/এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। চলুন কিছু প্রধান ট্রেনের সময়সূচী দেখি:

ট্রেনের নাম যখন ছাড়বে যখন পৌছাবে ছুটির দিন
মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস(৭০৩) ১৭ঃ৪৬ ১৯ঃ৪৪ নাই
উপকূল এক্সপ্রেস(৭১১) ০৮ঃ০০ ০৯ঃ২২ বুধবার
মহানগর এক্সপ্রেস(৭২১) ১৫ঃ২০ ১৭ঃ১০ রবিবার
ত্রিণা এক্সপ্রেস(৭৪১) ০১ঃ৪৫ ০৩ঃ২৭ নাই
চট্টলা এক্সপ্রেস(৬৭) ১১ঃ৫৭ ১৩ঃ৪৮ মঙ্গলবার

ট্রেনের ভাড়া

ভাড়া নির্ধারিত হয় ট্রেনের ধরণ ও শ্রেণী অনুসারে। আন্তঃনগর ট্রেনের ভাড়া সাধারণত বেশি হয় কারণ এগুলোতে উন্নত সেবা এবং দ্রুতগামী সুবিধা পাওয়া যায়। কুমিল্লা থেকে ভৈরব পর্যন্ত ভাড়ার কিছু উদাহরণ নিচে দেওয়া হলো:

আসন টিকিটের মূল্য(ভ্যাটসহ)
শোভন ১০৫
শোভন চেয়ার ১২৫
১ম শ্রেণি ১৬৫
১ম বার্থ ২৫০
স্নিগ্ধা ২৩৬
এসি সিট ২৮৮
এসি বার্থ ৪২৬

স্টপেজ স্টেশন

কুমিল্লা থেকে ভৈরব পথে কিছু স্টেশন রয়েছে যেখানে ট্রেন থামে। প্রতিটি স্টেশনই ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্ব বহন করে। কিছু প্রধান স্টপেজ স্টেশন নিচে উল্লেখ করা হলো:

  1. লাকসাম জংশন:
    • কুমিল্লা থেকে প্রথম প্রধান স্টেশন। এটি একটি বড় জংশন এবং এখানে থেকে চট্টগ্রাম ও অন্যান্য স্থানে যাওয়ার ট্রেন পাওয়া যায়।
  2. আখাউড়া জংশন:
    • লাকসাম থেকে পরের স্টেশন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন এবং ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলের কাছে অবস্থিত।
  3. কসবা:
    • আখাউড়া থেকে পরবর্তী স্টেশন। এটি ছোট হলেও যাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
  4. সরাইল:
    • কসবা থেকে পরবর্তী স্টেশন। এটি একটি গ্রামীণ এলাকা এবং স্থানীয় যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
  5. নবীনগর:
    • সরাইল থেকে পরবর্তী স্টেশন। এটি একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন।

ভ্রমণের সুবিধা

কুমিল্লা থেকে ভৈরব পর্যন্ত ট্রেন ভ্রমণে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।

  • আরামদায়ক যাত্রা: ট্রেন ভ্রমণ সাধারণত বাস বা অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় বেশি আরামদায়ক হয়।
  • ভ্রমণের সময় কম: ট্রেন যাত্রা দ্রুত এবং নির্ধারিত সময়ে পৌঁছানোর সুবিধা প্রদান করে।
  • ভাড়ার সাশ্রয়: ট্রেন ভাড়া সাশ্রয়ী হওয়ায় এটি সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য সহজলভ্য।

পরামর্শ

  • টিকিট সংগ্রহ: সময়মতো টিকিট সংগ্রহ করা উচিত, বিশেষ করে উৎসবকালীন সময়ে।
  • ব্যাগেজ ব্যবস্থাপনা: নিজস্ব ব্যাগেজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা উচিত এবং ট্রেনের ভেতরে সতর্ক থাকা উচিত।
  • সুবিধামতো সময়: নিজস্ব সময়সূচী অনুযায়ী ট্রেনের সময় নির্ধারণ করা উচিত যাতে যাত্রা আরামদায়ক হয়।

কুমিল্লা থেকে ভৈরব পর্যন্ত ট্রেন ভ্রমণ একটি সহজ ও সাশ্রয়ী মাধ্যম। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ট্রেন চলাচল করে এবং বিভিন্ন ধরণের ভাড়া ও সুবিধা প্রদান করে। স্টপেজ স্টেশনগুলোতে যাত্রীরা যাত্রাবিরতি করতে পারেন এবং ভ্রমণ আরও আরামদায়ক ও সহজ হয়। সুতরাং, পরবর্তীবার যখন আপনি কুমিল্লা থেকে ভৈরব যাবেন, ট্রেন ভ্রমণ আপনার প্রিয় একটি মাধ্যম হতে পারে।

Bangladesh Railway

ধন্যবাদ আমার সম্পর্কে জানতে চাওয়ার জন্য। আমি কোন ব্যক্তি নই। আমি একটি প্রতিষ্টান যেখানে একাধিক ব্যক্তি কর্মরত। সুতরাং আমাদের সাথে জড়িত যে কেউ আমার এই প্রফাইল ব্যবহার করে তথ্য প্রকাশ করতে পারে। কোন অভিযোগ বা পরামর্শের জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। ধন্যবাদ

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button