বিমানবন্দর টু ভৈরব ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া এবং স্টপেজ স্টেশন

বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলপথের একটি রুট হলো বিমানবন্দর থেকে ভৈরব। এই রুটে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে ব্যবসায়িক কাজে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত কিংবা পরিবারের সাথে দেখা করতে যাত্রীরা এই রুটের উপর নির্ভর করেন। এই ব্লগ পোস্টে আমরা বিমানবন্দর থেকে ভৈরব পর্যন্ত ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া এবং স্টপেজ স্টেশন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ট্রেনের সময়সূচী
বিমানবন্দর থেকে ভৈরব রুটে বিভিন্ন ধরনের ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনগুলো বিভিন্ন সময়ে যাত্রা শুরু করে এবং ভৈরবে পৌঁছে। নিচে কয়েকটি ট্রেনের সময়সূচী দেওয়া হল:
| ট্রেনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
| ঢাকা মেইল (০১) | নাই | ০৪ঃ২৭ | ০৬ঃ৫৫ |
| কর্ণফুলী এক্সপ্রেস (০৩) | নাই | ১৬ঃ৩০ | ১৯ঃ৪৫ |
| সুরমা মেইল (১০) | নাই | ০৫ঃ০৭ | ০৯ঃ১৫ |
| ঢাকা এক্সপ্রেস (১০) | নাই | ০২ঃ১৭ | ০৬ঃ৪০ |
| তিতাস কমিউটার (৩৩) | নাই | ০৫ঃ৫৭ | ০৮ঃ৩০ |
| তিতাস কমিউটার (৩৫) | নাই | ১২ঃ৫৯ | ১৫ঃ১৫ |
| ইশা খান এক্সপ্রেস (৪০) | নাই | ১৭ঃ৫০ | ২৩ঃ০০ |
| চাটলা এক্সপ্রেস (৬৭) | মঙ্গলবার | ১৩ঃ৪৮ | ১৫ঃ০০ |
| কুমিল্লা কমিউটার (৮৯) | মঙ্গলবার | ০৮ঃ৫৮ | ১২ঃ৫০ |
ট্রেনের ভাড়া
বিমানবন্দর থেকে ভৈরব পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া ট্রেনের ধরণ এবং আসনের শ্রেণীর উপর নির্ভর করে। এখানে বিভিন্ন শ্রেণীর আসনের ভাড়া দেওয়া হল:
| আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য |
| শোভন | ৮৫ টাকা |
| শোভন চেয়ার | ১০৫ টাকা |
| প্রথম সিট | ১৩৫ টাকা |
| প্রথম বার্থ | ২০৫ টাকা |
| স্নিগ্ধা | ১৯৬ টাকা |
| এসি সিট | ২৩৬ টাকা |
| এসি বার্থ | ৩৫১ টাকা |
ভাড়ার তথ্য পরিবর্তন হতে পারে, তাই যাত্রার আগে সর্বশেষ ভাড়ার তথ্য সংগ্রহ করা উচিত।
স্টপেজ স্টেশন
বিমানবন্দর থেকে ভৈরব পর্যন্ত ট্রেনগুলোর বেশ কয়েকটি স্টপেজ স্টেশন রয়েছে। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্টপেজ স্টেশনের তালিকা দেওয়া হল:
- বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন:
- এই স্টেশন থেকে ট্রেন যাত্রা শুরু করে।
- টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন:
- বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার পর প্রথম স্টপেজ। এই স্টেশনটি গাজীপুর জেলার অন্তর্গত।
- ভৈরব বাজার রেলওয়ে স্টেশন:
- গন্তব্য স্টেশন। কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত।
যাত্রা সংক্রান্ত কিছু টিপস
- টিকিট কাটা:
- ট্রেনের টিকিট আগে থেকে কেটে নেওয়া ভালো। বিশেষ করে উৎসবের সময় যাত্রীসংখ্যা বেড়ে যায়, তাই টিকিট পেতে অসুবিধা হতে পারে।
- সচেতনতা:
- ট্রেন যাত্রার সময় নিজেদের ব্যাগ ও মূল্যবান সামগ্রী সুরক্ষিত রাখা উচিত। ট্রেনের ভিতরে পকেটমার ও চুরির ঘটনা ঘটতে পারে।
- সময় মেনে চলা:
- ট্রেনের সময়সূচী মেনে স্টেশনে পৌঁছানো উচিত। ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তিত হতে পারে, তাই আপডেটেড সময়সূচী জানা উচিত।
- যাত্রার সুবিধা:
- ট্রেন যাত্রা অন্যান্য যাত্রার তুলনায় অনেক সুবিধাজনক। সময়মত পৌঁছানো এবং কম খরচে যাত্রা করা যায়।
যাত্রা পরিকল্পনা
বিমানবন্দর থেকে ভৈরব পর্যন্ত যাত্রা খুবই আরামদায়ক হতে পারে যদি কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা হয়। এখানে কিছু পরিকল্পনার টিপস দেওয়া হল:
- আগাম টিকিট বুকিং:
- অনলাইনে বা স্টেশনে গিয়ে আগাম টিকিট কেটে নিতে পারেন। এটি সময় সাশ্রয় করবে এবং যাত্রা আরো মসৃণ করবে।
- পর্যাপ্ত সময় নিয়ে স্টেশনে পৌঁছানো:
- ট্রেন ছাড়ার আগে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে স্টেশনে পৌঁছানো উচিত। এটি আপনার যাত্রাকে আরো নির্ঝঞ্ঝাট করবে।
- পূর্ব পরিকল্পনা:
- যাত্রার পূর্বে সঠিক সময়সূচী জেনে রাখা উচিত এবং সেই অনুযায়ী যাত্রার পরিকল্পনা করা উচিত।
বিমানবন্দর থেকে ভৈরব ট্রেন যাত্রা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় রুট। সময়মত ট্রেন পাওয়া, সঠিক ভাড়ায় টিকিট কাটা, এবং যাত্রার সময় সচেতন থাকার মাধ্যমে এই যাত্রা আরও সুবিধাজনক ও নিরাপদ করা যায়। যাত্রার পূর্বে সময়সূচী এবং স্টপেজ স্টেশন সম্পর্কে জেনে রাখা সবসময়ই ভালো। আশা করি, এই তথ্যগুলো আপনার যাত্রাকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করবে।
যেকোনো প্রশ্ন বা পরামর্শের জন্য নিচে কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন। শুভ যাত্রা!




