কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন সময়সূচী, ভাড়া ও স্টপেজ স্টেশন
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজার এবং রাজধানী ঢাকার মধ্যে যাতায়াতকারী একটি আধুনিক ও দ্রুতগামী ট্রেন। এটি পর্যটকদের জন্য যেমন আরামদায়ক, তেমনি ব্যবসায়ীদের জন্যও সহজলভ্য। কক্সবাজার এক্সপ্রেসের সময়সূচী, ভাড়া এবং স্টপেজ স্টেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এই ব্লগ পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
কক্সবাজার এক্সপ্রেস প্রতিদিন ঢাকা থেকে কক্সবাজার এবং কক্সবাজার থেকে ঢাকা রুটে চলাচল করে। প্রতিটি যাত্রার নির্দিষ্ট সময়সূচী নিম্নে দেওয়া হলো:
ঢাকা থেকে কক্সবাজার
- ট্রেন নম্বর: ৭০১
- প্রস্থান সময়: সকাল ৭:০০ টা
- গন্তব্যে পৌঁছানোর সময়: সন্ধ্যা ৬:০০ টা
কক্সবাজার থেকে ঢাকা
- ট্রেন নম্বর: ৭০২
- প্রস্থান সময়: সকাল ৮:০০ টা
- গন্তব্যে পৌঁছানোর সময়: রাত ৭:০০ টা
ট্রেনের ভাড়া
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিভিন্ন শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য ভিন্ন ভাড়া নির্ধারণ করেছে। সেগুলি হলো:
এসি কেবিন
- ভাড়া: ২,০০০ টাকা
- সুবিধা: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, আরামদায়ক আসন, ব্যক্তিগত কেবিন
এসি চেয়ার
- ভাড়া: ১,৫০০ টাকা
- সুবিধা: শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, আরামদায়ক আসন
শোভন চেয়ার
- ভাড়া: ৮০০ টাকা
- সুবিধা: সাধারণ চেয়ার, পর্যাপ্ত লেগ স্পেস
শোভন সাধারণ
- ভাড়া: ৫০০ টাকা
- সুবিধা: সাধারণ আসন
স্টপেজ স্টেশন
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে এবং কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছে। যাত্রাপথে এই ট্রেনটি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে থামে। সেগুলি হলো:
- চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন
- প্রস্থানের সময়: সকাল ১০:০০ টা
- গন্তব্যে পৌঁছানোর সময়: বিকেল ৪:০০ টা
- ফেনী রেলওয়ে স্টেশন
- প্রস্থানের সময়: সকাল ১১:০০ টা
- গন্তব্যে পৌঁছানোর সময়: বিকেল ৫:০০ টা
- কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশন
- প্রস্থানের সময়: দুপুর ১২:০০ টা
- গন্তব্যে পৌঁছানোর সময়: বিকেল ৬:০০ টা
- লাকসাম রেলওয়ে স্টেশন
- প্রস্থানের সময়: দুপুর ১:০০ টা
- গন্তব্যে পৌঁছানোর সময়: বিকেল ৭:০০ টা
- আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন
- প্রস্থানের সময়: দুপুর ২:০০ টা
- গন্তব্যে পৌঁছানোর সময়: বিকেল ৮:০০ টা
বিশেষ তথ্য
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা প্রদান করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- খাবার ও পানীয়: ট্রেনে বিভিন্ন ধরনের খাবার ও পানীয় পাওয়া যায়। যাত্রীরা তাদের আসনেই খাবার অর্ডার করতে পারেন।
- ইন্টারনেট সুবিধা: ট্রেনে ফ্রি ওয়াইফাই সেবা পাওয়া যায়, যা যাত্রীদের জন্য একটি বড় সুবিধা।
- নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ট্রেনটিতে সিসি ক্যামেরা এবং নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত থাকে।
- শৌচাগার সুবিধা: ট্রেনটিতে পরিষ্কার ও সুপরিসর শৌচাগার রয়েছে।
কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এটি শুধু যে যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক ভ্রমণ সেবা প্রদান করে তা নয়, বরং কক্সবাজারের সৌন্দর্য উপভোগের একটি বিশেষ সুযোগও দেয়। সময়সূচী, ভাড়া এবং স্টপেজ স্টেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানার মাধ্যমে যাত্রীরা তাদের ভ্রমণ পরিকল্পনা আরও সহজ করতে পারেন। এই ট্রেনটি বাংলাদেশের রেলওয়ে সেবার একটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন এবং যাত্রীদের জন্য একটি বিশ্বমানের অভিজ্ঞতা প্রদান করে।