পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকেট ও ভাড়ার তালিকা
ট্রেন ভ্রমণ সকলের জন্য আনন্দদায়ক। সত্যিকার অর্থে ভ্রমণের মধ্যেই মানুষ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপলব্ধির সুযোগ লাভ করে। ট্রেনের ভিতরের পরিবেশ এবং স্টেশন বিরতির সময় সবকিছুই অনেক মজার। আজকে আমরা আলোচনা করব পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সম্পর্কে। আপনি কি পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটির সময়সূচি, ছুটির দিন, ভাড়ার তালিকা, স্টেশন বিরতির সময় খুঁজছেন ? তাহলে আজকের এই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়েন। এই পোস্টের মাধ্যমে সকল তথ্য তুলে ধরবো।
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিবারের অন্যতম ট্রেন গুলোর একটি। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন নাম্বার ৭১৯/৭২০। চট্টগ্রাম সিলেট পথে আন্তঃনগর হিসেবে চালু হয় পাহাড়িকা এক্সপ্রেস যা উদ্বোধন হয় ১৬ মে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে । পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সিলেট পর্যন্ত চলাচল করে। এটি দ্রুত গতি সম্পন্ন ট্রেন হওয়ায় এই রোডে খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
এখানে আলোচনা করব পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটির সময়সূচি নিয়ে। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সিলেট যাওয়ার পথে কোন স্টেশন থেকে কখন ছাড়ে, কখন কোথায় গিয়ে পৌঁছায়, ছুটির দিন এসব জানতে নিচের ছকে চোখ রাখুন ।
স্টেশন | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
চট্রগ্রাম টু সিলেট | সোমবার | ০৯ঃ০০ | ১৭ঃ৫০ |
সিলেট টু চট্রগ্রাম | শনিবার | ১০ঃ১৫ | ১৯ঃ৩৫ |
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
ট্রেন ভ্রমণ করার জন্য স্টেশন বিরতির সময়সূচী খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিরতি স্টেশনের সময়সূচি বলতে, পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে সিলেট যাত্রাকালে কোন কোন স্টেশনে বিরতি রাখবেন এবং তা কত মিনিট এই সব কিছুকে বোঝায়। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে সিলেট এই ৩৭৭ কিলোমিটার যাত্রায় ১৪ টি ইস্টিশনে বিরতি রাখেন। নিচের ছকে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিরাটি স্টেশন ও সময়সূচী দেওয়া হল:
বিরতি স্টেশন নাম | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
ফেনী | ১০ঃ৩১ | ১৭ঃ৫০ |
নাঙ্গলকোট | ১১ঃ০৪ | ১৭ঃ২১ |
লাকসাম | ১১ঃ২৫ | ১৭ঃ০০ |
কুমিল্লা | ১২ঃ০৫ | ১৬ঃ৩২ |
কসবা | ১২ঃ৪৭ | ১৫ঃ৪২ |
আখাউড়া | ১৩ঃ২০ | ১৫ঃ১০ |
হরষপুর | ১৩ঃ৫৫ | ১৪ঃ১৯ |
নওয়াপাড়া | ১৪ঃ১৯ | ১৩ঃ৪০ |
শায়েস্তাগঞ্জ | ১৪ঃ৪৫ | ১৩ঃ১২ |
শ্রীমঙ্গল | ১৫ঃ২৬ | ১২ঃ২৯ |
ভানুগাছ | ১৫ঃ৪৯ | ১২ঃ০২ |
শমসের নগর | ১৬ঃ০০ | ১১ঃ৫৫ |
কুলাউড়া | ১৬ঃ২৬ | ১১ঃ২৪ |
মাইজগাঁও | ১৭ঃ০৮ | ১০ঃ৫৩ |
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকা
পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনটির ভ্রমণ দূরত্ব ৩৭৭ কিলোমিটার (২৩৪ মাইল) যাত্রাপথের সেবা অনুযায়ী টিকিটের দাম বেশি ব্যয়বহুল নয়। পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনে চার বিভাগের আসন রয়েছে। প্রতিটি বিভাগের টিকিটের মূল্য আলাদা আলাদা। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। টিকিট ক্রয় করার জন্য টিকিট কাউন্টারে আসতে পারেন। আবার ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরে বসেই টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। টিকিটের মূল্য নিচের ছকে দেওয়া হল:
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার | ৫০৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৯৬৬ টাকা |
এসি সিট | ১১৫৬ টাকা |
এসি বার্থ | ১৭৮১ টাকা |
নিরাপদ ভ্রমণের জন্য যে সকল তথ্য জানা দরকার সবকিছুই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। আরো কিছু জানার থাকলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জেনে নিতে পারেন। সকল ট্রেনের সময়সূচী, ছুটির দিন, স্টেশন বিরতি ও ভাড়ার তালিকা পাবেন আমাদের এই সাইটে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।