ভৈরব থেকে সিলেট ট্রেন যাত্রার সময়সূচী, ভাড়া এবং স্টপেজ স্টেশন
বাংলাদেশের রেলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থা দেশের বিভিন্ন শহরের মধ্যে ভ্রমণকে করেছে সহজ এবং আরামদায়ক। ভৈরব থেকে সিলেটের যাত্রা এই যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় এখানে প্রতিদিন প্রচুর যাত্রী আসা-যাওয়া করেন। চলুন জেনে নিই ভৈরব থেকে সিলেট ট্রেন যাত্রার সময়সূচী, ভাড়া এবং স্টপেজ স্টেশন সম্পর্কে বিস্তারিত।
ট্রেনের সময়সূচী
ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হল:
- কালনী এক্সপ্রেস (773/774)
- ভৈরব থেকে ছাড়ে: প্রতিদিন সকাল ১০:৫৫ মিনিট
- সিলেটে পৌঁছায়: দুপুর ২:০০ মিনিট
- পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (719/720)
- ভৈরব থেকে ছাড়ে: সোম, বুধ, বৃহস্পতি ও শনিবার সকাল ১০:০৫ মিনিট
- সিলেটে পৌঁছায়: দুপুর ২:২০ মিনিট
- জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (717/718)
- ভৈরব থেকে ছাড়ে: প্রতিদিন বিকাল ৫:৪০ মিনিট
- সিলেটে পৌঁছায়: রাত ১০:০০ মিনিট
- উদয়ন এক্সপ্রেস (723/724)
- ভৈরব থেকে ছাড়ে: রবিবার ও বুধবার রাত ৩:১০ মিনিট
- সিলেটে পৌঁছায়: সকাল ৬:০০ মিনিট
- পরিক্রমা এক্সপ্রেস (739/740)
- ভৈরব থেকে ছাড়ে: প্রতিদিন বিকাল ২:৫০ মিনিট
- সিলেটে পৌঁছায়: সন্ধ্যা ৭:১৫ মিনিট
ভাড়া
ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত ট্রেন যাত্রার ভাড়া ট্রেনের ধরন এবং আসনের শ্রেণীর উপর নির্ভর করে। সাধারণত ভাড়া নিম্নরূপ হয়ে থাকে:
- শোভন চেয়ার:
- প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা
- শুভ্র চেয়ার:
- প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা
- প্রথম শ্রেণী:
- প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা
- স্নিগ্ধা:
- প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা
- এসি স্লিপার:
- প্রায় ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা
স্টপেজ স্টেশন
ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত ট্রেনগুলি বিভিন্ন স্টপেজ স্টেশনে থামে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্টেশন নিম্নরূপ:
- কুলাউড়া জংশন: মৌলভীবাজার জেলার এই স্টেশনটি ট্রেন যাত্রার একটি প্রধান স্টেশন। এখানে বেশিরভাগ আন্তঃনগর ট্রেন থামে।
- শায়েস্তাগঞ্জ জংশন: হবিগঞ্জ জেলার এই স্টেশনটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলজংশন।
- স্রুমখাবাজি: সুনামগঞ্জ জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন।
- মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার একটি মূল স্টেশন।
- ফেঞ্চুগঞ্জ: সিলেট জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন।
যাত্রার সময়কাল
ভৈরব থেকে সিলেট পর্যন্ত ট্রেন যাত্রার সময় সাধারণত ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। তবে এটি ট্রেনের ধরন এবং ট্র্যাকের অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে।
টিকিট সংক্রান্ত তথ্য
বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট বা বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই ট্রেনের টিকিট কেনা যায়। এছাড়া ভৈরব রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকেও টিকিট কেনা সম্ভব। সময়মত টিকিট বুকিং করা ভালো, বিশেষ করে ছুটির দিনে এবং উৎসবের সময়ে ট্রেনের চাহিদা বেশি থাকে।
পরামর্শ
- অগ্রিম টিকিট বুকিং: ট্রেন যাত্রার জন্য অগ্রিম টিকিট বুকিং করা উত্তম। এটি যাত্রার দিন ভিড় এড়াতে সাহায্য করবে।
- যাত্রার আগে প্রস্তুতি: যাত্রার আগে প্রয়োজনীয় খাবার, পানি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সঙ্গে রাখা ভালো। যদিও ট্রেনে খাবার পাওয়া যায়, তবু নিজস্ব ব্যবস্থা থাকলে আরামের সাথে যাত্রা করা যায়।
- স্টেশন তথ্য: স্টেশনগুলির সময়সূচী এবং অন্যান্য তথ্য সম্পর্কে জানা উচিত, বিশেষ করে যদি স্টেশনে ট্রেন বদল করতে হয়।
ভৈরব থেকে সিলেটের ট্রেন যাত্রা সুন্দর এবং আরামদায়ক। বিভিন্ন ট্রেনের সময়সূচী, ভাড়া এবং স্টপেজ স্টেশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে যাত্রা আরও সহজ এবং আনন্দময় হয়। সঠিক পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতির মাধ্যমে আপনি ভৈরব থেকে সিলেটের যাত্রা স্মরণীয় করে তুলতে পারেন।